সম্পাদক এর কথা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
“ধরায় উঠেছে ফুটি শুভ্র প্রানগুলি
নন্দনের এনেছে সংবাদ;
ইহাদের করো আশীর্বাদ।”
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। ধরার বুকে আশীর্বাদ কুড়িয়ে নেয়া যেমনটা সহজ আবার ঠিক তেমনটাই কঠিন।আমার বিদ্যালয় জীবনের শুরুর দিকটা ছিল ন্যাশনাল ইনিশিয়াল স্কুলের গণ্ডিতে আজ চাকুরি জীবনের সম্ভাব্য ইতির দিকটাও ন্যাশনাল ইনিশিয়াল স্কুলে। ভাগ্যের এ যাত্রাই আমাকে আজ বলে দিচ্ছে আমার শিক্ষক শিক্ষিকা, গুরুজনের আশীর্বাদই কেবল আমাকে এই সম্মানের পেশায় টেনে এনেছে। শিক্ষকতা পেশায় এসে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমার শিক্ষার্থীদের শেখাতে যা আমি আমার শিক্ষক গুরুজনের কাছ থেকে শিখেছি। এই বিদ্যালয়ের সাথে রয়েছে আমার নাড়ীর টান।তাই শত বাধা-বিঘ্নে ও অটল থাকে প্রাণ। একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক তিন জনের মত এক হওয়া উচিত- শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক।শিক্ষকের দায়িত্ব হল শিক্ষা দেয়া, পরামর্শ দেয়া আর অন্যদিকে অভিভাবকের দায়িত্ব হল সে অনুযায়ী কাজ করে শিক্ষার্থীকে তৈরি করা। যখন এ নিয়ম চালু হবে তখন অতি সহজেই লেখাপড়া সহজ হবে।কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে লক্ষণীয় হল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনটি সেদিকে পঙ্গপালের মত দৌড়ানো।এ বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করে। তবে আমি আশাবাদী এ ভ্রান্ত ধারণা একদিন ঘুচবে। আমারই মত এ বিদ্যাপীঠের কোন ছাত্র/ছাত্রী আবার এ বিদ্যাপীঠেই ফিরবে তার আশীর্বাদকদের আশীর্বাদ নিয়ে। শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই লক্ষ্যে আমি এবং আমরা সর্বদা অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছি। আমাদের এই ছোট ছোট কোমলমতি শিশু প্রাণকে বিকশিত করতে।আর এভাবেই শিশু নিজেকে দেশের দক্ষ নাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাই তো কবি বলেছেন “ শুধু নিজের জন্য নিজের যে জীবন তার মুল্য এক কানা কড়ি। অন্যের কাজে লাগলে জীবন মূল্যবান হয়, তোমরা নিজেদের জীবনের মূল্য বাড়াবার চেষ্টা করো।”
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি,প্রধান শিক্ষিকা, শিক্ষক প্যানেল সকলের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি। “আল্লাহ্ সকলের মঙ্গল করুন।” আমিন।
ফারজানা আক্তার রেশমা
সম্পাদক, সহকারী শিক্ষক
ন্যাশনাল ইনিশিয়াল স্কুল