সভাপতির কিছু কথা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর, যিনি বিশ্ব জগতের সৃষ্টি ও পালনকর্তা । “বিদ্যার্জন প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ।”(আল হাদিস) আল হাদিসের আলোকে বলা যায় শিক্ষা মানব জীবনের উন্নয়নের একটি উপায় বা মাধ্যম। এ শিক্ষাই আমাদের সুশৃঙ্খল করে তোলে। বর্তমানে আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক বিস্তারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আত্তসত্তাকে বিকশিত করার দিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তাদের মাঝে নিজস্বতাবোধ জাগ্রত করা এবং নিজের আত্মোপলব্ধিকে কাজে লাগিয়ে তাদের একটা নিজস্ব অবস্থান গড়ে তোলাই শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত ৩ ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিক (Formal Education) শিক্ষা ব্যবস্থা বেশি প্রচলিত। এ ব্যবস্থার শিক্ষা শ্রেণি ভিত্তিক, সুসংগঠিত ো সুনিয়ন্ত্রিত যা নিজস্ব আইন কানুন, রীতিনীতি, বিধিনিষেধ দ্বারা শৃঙ্খলিত।আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়নের জন্য উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই। আর এই আধুনিক তথা উন্নত শিক্ষাকে সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে আলোকিত সমাজ গড়ার সুপ্ত ইচ্ছার বাস্তবিক রূপরেখা আঁকতে গিয়েই ১৯৯৭ইং সালে মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে, এলাকার সুধিজন ও নিকটজনদের সহযোগিতায় মাত্র ৪৫জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা NIS এর সুদূরপ্রসারী জাত্রা শুরু করি। শিক্ষানবিশ বিগত বৎসরগুলোতে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ,সৃজনশীল পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ এবং তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে NIS আজ স্বমহিমায় অত্র এলাকার একটি অন্যতম বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এ যাত্রা প্তহে নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক এমন কি প্রাকৃতিক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগুতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমরা যারা এর সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আছি তাদের উদ্দেশ্য শুধু NIS এ’ নামটির মাইলফলক রেখে যাওয়া নয় । বরং আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীবের এই’ কারখানার নিরলস গতিকে যেন সমাজ ধরে রাখতে পারে, নিয়ে যেতে পারে এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কে চরম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে। আর এর জন্য প্রয়োজন ছাত্র/শিক্ষক/অভিভাবক সকলের নিরলস প্রচেষ্টা । আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার । তাই তাদের কে সুযোগ্যরুপে গড়ে তোলা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্বও বটে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিশুদের পরিপুষ্টভাবে মনোদৈহিক বিকাশে সাহিত্য ও খেলাধুলার (সহশিক্ষা কার্যক্রম) নিয়মিত চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। যা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকেই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করে আজ অনেকেই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে চাই আজকের সুকোমল শিক্ষার্থীরাও তাদের পথ অনুসরণ করবে এবং দেশ ও বিশ্বমানবতার উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখবে ইনশাআল্লাহ।আশা রাখি এ প্রতিষ্ঠানের এক ঝাঁক তরুণ দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী এটিকে ঢাকা বোর্ডের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমি দঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি আমাদের এই প্রাণতুল্য প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত তার উচ্চতর শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়ে আরো গর্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। আর এর মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হবে NIS প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সার্বিক অর্থে আমাদের শিক্ষার মানকে আলোর পথে উদ্ভাসিত করে তুলতে হবে। এ আশায় আশান্বিত হয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। আমাদের এ দুর্গম যাত্রার সাথী হতে আহ্বান জানাই আমাদের অভিভাবক শুভানুধ্যায়ী সকলকে। যেন আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মানসম্মত শিক্ষার সাথে সাথে নীতিনৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ উপহার দিতে পারি।
সবার সুন্দর ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, “ আল্লাহ্ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হোন ”। আল্লাহ্ হাফেজ।
সুফিয়া খানম
সভাপতি
ন্যাশনাল ইনিশিয়াল স্কুল